অস্ত্র,গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার

টেকনাফে অবশেষে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেল শীর্ষ দুই মাদক ব্যবসায়ী নুর হাফেজ ও সোহেল

গিয়াস উদ্দিন ভূলু, কক্সবাজার জার্নাল ◑

টেকনাফ থানা পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে অবশেষে মারা গেল শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিমের সহযোগী সেকেন্ড ইন কমান্ড ডাকাত নুর হাফেজ ও সোহেল।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, ১৪ ডিসেম্বর (শনিবার) ভোর রাত ৪টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়ন রঙ্গীখালী গহীন পাহাড়ী এলাকায় পুলিশের সাথে গোলাগুলিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ দুই ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। উক্ত ঘটনায় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমান অস্ত্র,গুলি ও ইয়াবা।

নিহত দুই মাদক ব্যবসায়ী হচ্ছে, বিগত ৪/৫ বছর আগে মিয়ানমার থেকে আসা রঙ্গীখালী এলাকায় বসবাসকারী রোহিঙ্গা দিল মোহাম্মদ প্রকাশ(ইয়ার মোহাম্মদ) পুত্র নুর আলম প্রকাশ (নূর হাফেজ) (৩২) ও সাব্বির আহম্মেদের পুত্র মোঃ সোহেল (২৬)।

উল্লেখ্য,  নিহত দুই মাদক ব্যবসায়ী গত ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার ৮ লক্ষ ইয়াবা, ৬টি অস্ত্র,৭০ রাউন্ড গুলিসহ র‍্যাব-৭ সদস্যদের হাতে আটক হয়েছিল।

অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ থানার (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, ১৩ ডিসেম্বর র‍্যাব-৭ সদস্যদের হাতে ৮লক্ষ ইয়াবা,৬টি অস্ত্র,৭০ রাউন্ড গুলিসহ আটক ৪ মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করার পর থানায় হস্তান্তর করলে উক্ত আসামীকে মাদক পাচার ও অস্ত্র মজুদ রাখার ব্যাপারে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক ১৪ ডিসেম্বর গভীর রাত ৩টা ২০ মিনিটের সময় আটক আসামীদের নিয়ে পুলিশের একটি দল হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী গাজী পাড়া পশ্চিম পাহাড়ী এলাকায় অভিযানে গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে আটক আসামীদের সহযোগী অস্ত্রধারী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশের নিকট হইতে আটক আসামীদেরকে ছিনাইয়া নেওয়ার জন্য পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষন শুরু করে এতে এসআই/কামরুজ্জামান,এএসআই/ মিশকাত, এএসআই সনজীব দত্ত, কনেস্টবল মহিউদ্দিন ও /সেকান্দর গুলিবিদ্ধ হলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়।

উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে ধৃত আসামি মোঃআমিন প্রকাশ নুর হাফেজ(৩২), মোঃ সোহেল গুরুতর আহত হয়। এরপর পুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। সেখানে পৌছার পর দায়িত্বরত ডাক্তার তাদেরকে মৃত ঘোষনা করে।

এদিকে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে দেশীয় তৈরী ৬টি অস্ত্র,১৮রাউন্ড তাজা কাতুজ,১৩ কার্তুজের খালী খোসা ও ৯৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

তিনি আরো বলেন, টেকনাফ উপজেলায় যে সমস্ত অপরাধীরা এখনো মাদক পাচারে জড়িত রয়েছে। তাদেরকে কঠোর হস্তে নির্মুল করার জন্য পুলিশ সদস্যদের চলমান মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত আছে এবং থাকবে।